শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। এ সূচকে পাঁচ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। এখন বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা আগাম ভিসা ছাড়া বিশ্বের ৪০টি দেশে ভ্রমণ করতে পারেন।
মঙ্গলবার শক্তিশালী পাসপোর্টের নতুন সূচক প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স’। একটি নির্দিষ্ট দেশের পাসপোর্টধারীরা কতগুলো দেশে, ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন— সেটির ওপর নির্ভর করে এই সূচক তৈরি করা হয়।
শক্তিশালী পাসপোর্টের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৯৬তম। গত জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০১তম। তখন যৌথভাবে কসোভোও একই অবস্থানে ছিল।
সূচকের তথ্য বলছে, এখন বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা আগাম ভিসা ছাড়া বিশ্বের ৪০টি দেশে ভ্রমণ করতে পারেন।
‘দ্য হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স’ অনুযায়ী, এখন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুরের। দেশটির পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা বিশ্বের ১৯২টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়াই যেতে পারেন।
সূচকে যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জার্মানি, ইতালি ও স্পেন। এই দেশগুলোর পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা বিশ্বের ১৯০টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া যেতে পারেন।
যৌথভাবে তৃতীয় অবস্থানে আছে অস্ট্রিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জাপান, লুক্সেমবার্গ, দক্ষিণ কোরিয়া ও সুইডেন। এই দেশগুলোর পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা বিশ্বের ১৮৯টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া যেতে পারেন।
সূচকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থান ৮০তম। ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে একই অবস্থানে আছে সেনেগাল ও টোগো। এই তিন দেশের পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা বিশ্বের ৫৭টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া যেতে পারেন।
ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা
বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা এখন আগাম ভিসা ছাড়া বিশ্বের যে ৪০টি দেশ ও অঞ্চলে ভ্রমণ করতে পারবেন তার তালিকায় ছয়টি এশিয়ার দেশ আছে। এ ছাড়া আছে আমেরিকার একটি, আফ্রিকার ১৫টি, ক্যারিবীয় ১১টি ও ওশেনিয়ার ৭টি দেশ ও অঞ্চল। এর মধ্যে কিছু দেশ ও অঞ্চলে (এক তারকা চিহ্নিত) অন অ্যারাইভাল বা বিমানবন্দরে নামার পর ভিসার সুবিধা পান বাংলাদেশিরা। শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে নিতে হবে ই-ভিসা।
এশিয়ার দেশগুলো হচ্ছে: ভুটান, কম্বোডিয়া*, মালদ্বীপ*, নেপাল*, শ্রীলঙ্কা*, পূর্ব তিমুর*।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ: বলিভিয়া*।
আফ্রিকা অঞ্চলের দেশগুলো হলো: বুরুন্ডি*, কেপ ভার্দে*, কমোরো দ্বীপপুঞ্জ*, জিবুতি*, গিনি-বিসাউ*, লেসোথো, মাদাগাস্কার*, মৌরিতানিয়া*, মোজাম্বিক*, রুয়ান্ডা*, সেশেলস*, সিয়েরা লিওন*, সোমালিয়া*, গাম্বিয়া ও টোগো*।
ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশগুলো: বাহামা, বার্বাডোস, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, ডমিনিকা, গ্রানাডা, হাইতি, জ্যামাইকামন্টসেরাত, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডাউন, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো।
ওশেনিয়ার দেশগুলো: কুক আইল্যান্ড, ফিজি, মাইক্রোনেশিয়া, নুউয়ে, সামোয়া*, টুভালু* ও ভানুয়াতু।