শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্তের নাকুগাঁও স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভ্রমণ কর পরিশোধে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। এখানে অনলাইনে ভ্রমণ কর দেওয়ার পারমিট না থাকায় নির্ভর করতে হয় সোনালী ব্যাংকের বুথের ওপর। সম্প্রতি নাকুগাঁও কাস্টমস বিভাগে সোনালী ব্যাংকের বুথ চালু হলেও সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার বুথ বন্ধ থাকে। এতে ভ্রমণকারীরা ওই দুদিন ভারত যেতে ভোগান্তিতে পড়ছেন।
জানা গেছে, করোনার কারণে ২০২০ সালে ২৬ মার্চ নাকুগাঁও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘ প্রায় সোয়া ৩ বছর পর চলতি বছরের ২২ জুন পুনরায় এ ইমিগ্রেশন দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু হয়।
এ ইমিগ্রেশন পয়েন্টে আগে ব্যাংকের বুথ না থাকায় ও ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে যাত্রী পারাপার হওয়ায় কাস্টমস বিভাগ বিশেষ ব্যবস্থায় যাত্রীদের কাছ থেকে ভ্রমণ কর আদায় করত। কিন্তু ইমিগ্রেশন ও কাস্টমের কাজ আপগ্রেড বা ডিজিটাল হওয়ায় সে সুযোগ আর নেই।
মো. রফিকুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা স্থানীয় তাই বিষয়টা জানার কারণে বন্ধের দিনে ভারত যাওয়ার জন্য আগেই ব্যাংক খোলার দিন ভ্রমণ কর পরিশোধ করে রাখি। তবে যারা দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন তারা বিপদে পড়ছেন।
নাকুগাঁও আমদানি ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল বলেন, এ ইমিগ্রেশন দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু হওয়ায় ব্যবসারও যেমন প্রসার ঘটবে তেমনি ভ্রমণকারীদেরও অনেক সুবিধা হবে। কিন্তু দেশের সব ইমিগ্রেশনে ব্যাংক বা বুথ শুক্র-শনিবার খোলা থাকলেও আমাদের এখানে বুথ বন্ধ থাকে। তাই অনেক ভ্রমণকারীদের ভোগান্তি হচ্ছে।
সোনালী ব্যাংকের শেরপুর অঞ্চলের ডিজিএম শ্যামল কুমার মন্ডল বলেন, দেশের সব ইমিগ্রেশনের জন্য ভ্রমণ কর পরিশোধ করা যায় অনলাইনেই। কিন্তু আমাদের শেরপুরের ইমিগ্রেশনের নাম সংযুক্ত না থাকায় অনলাইনে ভ্রমণ কর দেওয়া যাচ্ছে না। আশা করি দ্রুত অনলাইন সেবাটি চালু হবে।