পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
সিলেটের যতগুলো দর্শনীয় স্থান আছে তার মধ্যে তামাবিল অন্যতম। চারপাশে সবুজ পাহাড় আর তার মাঝে স্বচ্ছ পানির লেক আপনাকে দেবে অন্যরকম এক অনুভূতি।
তামাবিল সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত। সিলেট শহর থেকে সড়ক পথে দূরত্ব ৫৬ কিলোমিটার। এটি জাফলং জিরো পয়েন্ট নামেও পরিচিত। সিলেট-জাফলং রোড ধরে এগিয়ে যেতে থাকলে জাফলংয়ের পাঁচ কিলোমিটার পূর্বে তামাবিলের দেখা মিলবে।
সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় এখান থেকে সরাসরি ভারতের পাহাড় পর্বত, ঝরনা আর জলপ্রপাত দেখা যায়। সীমান্তের ওপারে অনেকগুলো জলপ্রপাত রয়েছে। এগুলো বিকাল বেলা ও গোধূলীর সময় দেখতে খুবই সুন্দর। নয়নাভিরাম এসব দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন শত শত পর্যটক ভীড় জমায় তামাবিল সীমান্তে। ভারত থেকে বাংলাদেশে কয়লা আসে তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে। তামাবিলের ওপারে ভারতের মেঘালয় রাজ্য।
তামাবিলে যাওয়ার পথের বাঁকে বাঁকে বিশাল পাহাড় ও ঝরনার এক পলক দর্শন আপনাকে মুগ্ধ করবে। প্রকৃতির আয়োজন ছাড়াও তামাবিলের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য আছে স্বচ্ছ পানির লেক, তামাবিল জিরো পয়েন্ট ও জৈন্তিয়া হিল রিসোর্ট।
কিভাবে যাবেন
সিলেট নগরীর যেকোনো স্থান থেকে জাফলংগামী যানবাহনে তামাবিল যেতে পারবেন। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যেতে পারবেন। ভাড়া একটু বেশি পড়বে। এছাড়া মাইক্রোবাস সারাদিনের জন্য রিজার্ভ নিতে পারেন।
কোথায় থাকবেন
তামাবিলে জৈন্তিয়া হিল নামে ভালোমানের একটি রিসোর্ট রয়েছে। এছাড়া জাফলংয়ের গেস্ট হাউস ও জেলা পরিষদের বাংলোতে আগেই বুকিং দিয়ে থাকতে পারবেন। তবে সকালে রওনা হলে তামাবিল ঘুরে বিকাল/সন্ধ্যার মধ্যেই সিলেট শহরে ফিরে আসা যায়। তাই রাতে থাকার জন্যে সিলেট শহরে ফিরে আসাই ভালো।
কোথায় খাবেন
স্থানীয় পর্যায়ের বিখ্যাত খাবার হলো আখনি পোলাও এবং সাতকরা। এখানে স্থানীয় হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোতে সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়। এছাড়া কিছু উন্নতমানের হোটেল রয়েছে। তবে পর্যাটকরা সচরাচর সিলেট শহরে ফিরে খাওয়া-দাওয়া করে থাকেন।