ঢাকার রয়্যাল থাই দূতাবাস এবং বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যুরিজম অথরিটি অফ থাইল্যান্ডের (টিএটি) নয়াদিল্লিশাখার উদ্যোগে বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য একটি মেডিকেল ও ওয়েলনেস ট্যুরিজম ভার্চুয়াল ফেয়ার ২০২১ আয়োজন করতে চলেছে থাইল্যান্ড।১৪ থেকে ১৮ মার্চ, ৫-দিন ব্যাপী এই ভার্চুয়াল মেলায় কোভিড–১৯ পরবর্তী নিউ নর্মালের যুগে থাইল্যান্ডের আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা ও ওয়েলনেস ট্যুরিজমের যে অঢেল ব্যবস্থা রয়েছে, সেই সম্পর্কে পর্যটক ও থাইল্যান্ড ভ্রমণে ইচ্ছুকদের অবগত করানোর জন্যই এই আয়োজন। কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত অনলাইনের মাধ্যমেই বাংলাদেশের বিটুবি এবং বিটুসি মার্কেটের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে চলতে চায় থাইল্যান্ড। বাংলাদেশের ট্র্যাভেল এজেন্ট, ট্যুর অপারেটর, সাধারণ পর্যটক এবং গণমাধ্যমকে তথ্যবহুল ওয়েবিনার এবং অনলাইন ফান অ্যাক্টিভিটিতে অংশ নিতে এবং আকর্ষণীয় উপহার জিতে নিতে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।
মার্চ মাসের ১৪ এবং ১৬ তারিখে বাংলাদেশের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে দশটা থেকে দুটি ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়েছে। ঢাকার রয়্যাল থাই দূতাবাস, টিএটি ও থাই এয়ারওয়েজ ইন্টারন্যাশনাল-এর পাশাপাশি এই ওয়েবিনারে থাইল্যান্ডের সাতটি শীর্ষস্থানীয় হাসপাতাল অংশ নেবে। অংশগ্রহণকারী হাসপাতালগুলি হল – বুমরানগ্রাদ হাসপাতাল, ব্যাংকক হাসপাতাল, সমিতিভেজ হাসপাতাল, ফায়াথাই ২ হাসপাতাল, পাওলো হাসপাতাল, মেডপার্ক হাসপাতাল ও প্রিঙ্ক হাসপাতাল সুবর্ণভূমি। মেডিকেল ট্যুরিস্ট ভিসা এবং সার্টিফিকেট অফ এন্ট্রি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দেবে রয়্যাল থাই দূতাবাস। দর্শক-শ্রোতাদের সাথে প্রশ্নোত্তরের পর্বও থাকবে। গোটা সপ্তাহ জুড়ে সামাজিক মাধ্যমে (মূলত ফেসবুকে) নানারকম কুইজ, গেমস, পোল এবং আরও অনেক মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করা হয়েছে শুধু বাংলাদেশের মানুষের জন্য।
এই মেলা প্রসঙ্গে ক্রাইচোক অরুণপাইরোজকুল, ঢাকার রয়্যাল থাই দূতাবাসের চার্জ-দ্য-অ্যাফেয়ারস (এআই) বলেছেন, “বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক বন্ধু। বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন কারণে থাইল্যান্ডগামী মানুষের ক্রমবর্ধমান চাহিদা সম্পর্কে আমরা সচেতন। আমাদের দূতাবাসে থাইল্যান্ড ভ্রমণের জন্য সবরকম প্রয়োজনীয় তথ্য এবং সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা সদা প্রস্তুত। বিশেষ করে যে বাংলাদেশী মানুষরা চিকিৎসার কারণে থাইল্যান্ড যেতে চান, তাঁদের আমরা অগ্রাধিকার দিই। এই মেডিকেল ও ওয়েলনেস ট্যুরিজম ভার্চুয়াল ফেয়ার বর্তমান এবং মহামারী পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। টিএটি নয়াদিল্লি শাখার সাথে এই অনুষ্ঠানের সহ-আয়োজন করতে পেরে আমরা খুব খুশি। আমি মেলার সার্বিক সাফল্য কামনা করি এবং আশা করি এটি সংশ্লিষ্ট সকলের কাজে লাগবে। ”
এই উদ্যোগের বিষয়ে টিএটি নয়াদিল্লি শাখার প্রধান ভচিরাচাই সিরিসাম্পান বলেছেন, “আমরা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করতে পেরে খুব খুশী। তাদের অ্যামেজিং থাইল্যান্ড সম্পর্কে আপডেট করতে পারার সুযোগ পেয়ে আমরা যেমন আনন্দিত, তেমনি মহামারী পরবতী সময়ে থাইল্যান্ডকে উপযুক্তভাবে পর্যটকদের সামনে তুলে ধরার জন্য তাঁদের বিশেষ ভাবে সহায়তা করতেও উৎসুক আমরা। আমি ওয়েবিনার দুটির উচ্চমানের সাফল্য প্রত্যাশা করি। আর সেইসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলিতে যে মজাদার অ্যাক্টিভিটির আয়োজন করেছি আমরা, আশা করব, ভ্রমণ স্বাভাবিক হলে থাইল্যান্ডকে সবার আগে মনে রাখবেন বাংলাদেশের বিদেশমুখী মানুষ। আশাকরি এই সপ্তাহব্যাপী অনলাইন মেলা খুব সফল হবে এবং এটি বাংলাদেশে আমাদের আরও নতুন নতুন কাজ করতে উৎসাহিত করবে।”
২০২০ সালের আগস্টে, বিশ্বব্যাপী লকডাউনের মধ্যেই, টিএটি নয়াদিল্লি শাখা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট, বাংলাদেশের সাথে সরাসরি যোগাযোগের জন্য নিবেদিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্ল্যাটফর্ম চালু করে। এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে, বাংলা ভাষায় প্রতিদিন পর্যটন ও কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সংবাদ, ছবি এবং ভিডিও আপডেট দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি একটি দ্বিভাষিক মাসিক নিউজলেটার বা ই-পত্রিকাও প্রকাশিত হচ্ছে। টিএটি-র যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ খবরের পাশাপাশি থাইল্যান্ডের পর্যটন, ব্যবসা ও সংস্কৃতি সংক্রান্ত ঢাকার রয়্যাল থাই দূতাবাসের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ আপডেটও শেয়ার করা হচ্ছে। বাংলাদেশের ভ্রমণ ও পর্যটন শিল্পে যাঁরা শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি, যাঁরা কেবল বাংলাদেশের পর্যটন মানচিত্রকেই রূপ দিচ্ছেন তা নয়, যাঁরা দেশের সামগ্রিক পর্যটন বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন, এবং যাঁরা আন্তর্জাতিক আঙিনায় বাংলাদেশের পর্যটনের দূত, টিএটি তাঁদের সাথে সদা সংযুক্ত থাকতে ও একসাথে কাজ করতে আগ্রহী।
সূত্রঃ প্রেস রিলিজ (ঢাকা, মার্চ ১, ২০২১)