পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
ঢাকায় বেশ কিছু বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে যেখানে ঈদ অবকাশে একটা দিন, কিছুটা সময় কাটাতে পারেন।
মৈনট ঘাট
মৈনট ঘাট ঢাকার খুব কাছেই। ঢাকার দোহার উপজেলার পশ্চিম প্রান্ত ঘেঁষে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদীর কোলে মৈনট ঘাট। স্থানটি ‘মিনি কক্সবাজার’ নামে পরিচিত। ঢাকার খুব কাছাকাছি হওয়ায় ২ ঘণ্টার মধ্যেই এখানে যেতে পারবেন। মাত্র ৯০ টাকায়। সারাদিন ঘুরে সন্ধ্যায় আবার ফিরেও আসতে পারবেন।
পানাম নগর
পানাম নগর ঢাকার খুব কাছেই, মাত্র ২৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে নারায়ণগঞ্জের খুব কাছে সোনারগাঁতে অবস্থিত। যারা ঐতিহাসিক স্থানে ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন; তাদের জন্য পানাম নগর হতে পারে সেরা। ঢাকার নিকটবর্তী হওয়ায় ভ্রমণপিপাসুদের কাছে বেশ জনপ্রিয় স্থানটি।
লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর
পানাম নগর ঘুরে চলে যেতে পারেন লোক ও কারুশিল্প জাদুঘরে। আবহমান গ্রাম বাংলার লোক সাংস্কৃতিক ধারাকে বিকশিত করার উদ্যোগে ১৯৭৫ সালের ১২ মার্চ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সোনারগাঁয়ের ঐতিহাসিক পানাম নগরীর একটি পুরোনো বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন।
বড় সর্দার বাড়ি
সোনারগাঁওয়ের বড় সর্দার বাড়ির ইটের ফাঁকে ফাঁকে ইতিহাস, বাতাসের অনুরণনে দুর্বোধ্যতা আর মেঝেজুড়ে রহস্য ও রোমাঞ্চ। খাজাঞ্চিখানা, দরবার কক্ষ, ঠাকুরঘর, গোসলখানা, কূপ, নাচঘর আর গুপ্তপথ নিয়ে বড় সর্দার বাড়ি। অবয়বে পুরোনো বৈভব নেই কিন্তু বৈভবের চলে যাওয়ার দাগ রয়েছে।
বাংলার তাজমহল
সোনারগাঁতেই অবস্থিত তাজমহল মূলত ভারতের আগ্রায় অবস্থিত তাজমহলের অবিকল প্রতিরূপ। ১৫০ টাকার এক টিকিটে দুই মুভির মতো, বাংলার তাজমহলের সঙ্গে বাংলার পিরামিড দর্শন করতে পারবেন। বাংলার তাজমহলের মালিক আহসানুল্লাহ মনি একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে তার ‘তাজমহলের কপিক্যাট সংস্করণ’ প্রকল্পের ঘোষণা করেন। এটি রাজধানী থেকে ২০ মাইল উত্তর-পূর্বে সোনারগাঁয়ের পেরাবে নির্মিত হয়।
মেঘনার চর
ঢাকার কাছে আড়াইহাজার চর অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অল্প সময়ে। নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য আদর্শ এক স্থান এটি। সারাদিনের জন্য ঘুরতে পারবেন সেখানে। নদীর তীরে ট্রলারে পড়ন্ত বিকেল কাটানোর স্মৃতি মনে গেঁথে থাকবে সব সময়। গুলিস্তান থেকে দোয়েল বা স্বদেশ পরিবহনে মদনপুর যাবেন। সেখানে নেমে আড়াইহাজারের জন্য সিএনজি নেবেন।
গোলাপ গ্রাম
ঢাকার সাদুল্লাহপুরের গোলাপ বাগান যেন লাল চাদর বিছিয়ে রেখেছে। কীভাবে গোলাপের চাষ করা হয়, কীভাবে তা সংগ্রহ করা হয়; তা নিজ চোখে দেখতে পারবেন। সাদুল্লাহপুর যেতে মিরপুর মাজার রোড হয়ে বেড়িবাঁধ সড়কে যাবেন। এ ক্ষেত্রে মিরপুর-১ থেকে বাস, টেম্পো, অটোরিকশা বা রিকশায় চড়তে হবে। বেড়িবাঁধ তুরাগের তীর তথা শিন্নিরটেক ঘাট থেকে ট্রলারে উঠতে হবে।
বেলাই বিল
গাজীপুরের বেলাই বিলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ পর্যটকরা। বিকেলে বিলের চারপাশে অপূর্ব দৃশ্য তৈরি হয়। সঙ্গে শাপলার ছড়াছড়ি। ঘুরে বেড়ানোর জন্য মনোরম জায়গা। সেখানে ইঞ্জিনচালিত আর ডিঙ্গি নৌকা পাওয়া যায়। বেলাই বিলে যেতে হলে প্রথমে গাজীপুর সদরে যাবেন। সেখানে নেমে টেম্পুতে কানাইয়া বাজার যান। রিকশায়ও যেতে পারেন। কানাইয়া বাজারে নেমে ব্রিজ পার হয়ে নৌকা ঠিক করে উঠে পড়ুন। পৌঁছে যাবেন বিলে।
আহসান মঞ্জিল
বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত ঢাকার নবাবদের আবাসিক ভবনগুলোর মধ্যে অন্যতম বিখ্যাত স্থান আহসান মঞ্জিল। এই ঈদে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নবাবদের আভিজাত্যের ছোঁয়া উপভোগ করার মতো মজা আর হবে না।
লালবাগ কেল্লা
মুঘল আমলে নির্মিত একটি অনন্য ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে পরিচিত লালবাগ কেল্লা। প্রতিদিন হাজারো মানুষের ভিড়ে মুখর থাকে লাল ইটের দর্শনীয় কেল্লাটি। সেই সঙ্গে দেখে আসতে পারেন কেল্লার পাশেই অবস্থিত ঐতিহাসিক লালবাগ শাহী মসজিদও।