পর্যটন বিচিত্রা ডেস্ক
ওয়ার্ক ভিসায় বিদেশগামী কর্মীদের জন্য বিশেষ বিমান ভাড়া নির্ধারণে বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনাকারী এয়ারলাইন্স ও ট্রাভেল এজেন্সিগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। এ বিশেষ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে পরিপত্রও জারি করেছে বিমান মন্ত্রণালয়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ক্রমবর্ধমান বিমান ভাড়া রোধ এবং অভিবাসন ব্যয় হ্রাসের লক্ষ্যে সৌদি আরব ও মালয়েশিয়াগামী বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য বিশেষ ‘শ্রমিক ভাড়া’ চালু করেছে।
প্রায় দুই দশক আগে বন্ধ হওয়া এই ‘শ্রমিক ভাড়া’ পুনঃপ্রবর্তন করা হলো, যা অভিবাসী কর্মী, ট্রাভেল এজেন্ট এবং নিয়োগকারী সংস্থাগুলোর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিমান জানায়, সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে এই ভাড়া কার্যকর হয়েছে।
অন্যদিকে, আকাশপথের যাত্রীদের প্রকৃত ভাড়ায় গন্তব্যে পৌঁছানো নিশ্চিত করতে মঙ্গলবার সিএ-২ অধিশাখা থেকে বিশেষ ভাড়া সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। এতে স্বাক্ষর করেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব রুমানা ইয়াসমিন।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনাকারী এয়ারলাইন্স ও ট্রাভেল এজেন্সিগুলো ওয়ার্ক ভিসায় বিদেশগামী শ্রমিক/কর্মীদের জন্য বিশেষ বিমান ভাড়ার ব্যবস্থা করবে।’
বিমানের বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ-সৌদি আরব এবং বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া রুটে কর্মীরা চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত শ্রমিক ভাড়ার সুবিধা পাবেন।
নতুন ভাড়া কাঠামোর অধীনে, ঢাকা-জেদ্দা, ঢাকা-মদিনা এবং ঢাকা-রিয়াদ রুটের ফ্লাইটের জন্য কর ব্যতীত মূল ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৬০ ডলার। ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটের জন্য এই ভাড়া ১৫০ ডলার।
বিমান সূত্র জানায়, সৌদি আরবগামী ফ্লাইটের নিয়মিত বেস ভাড়া বর্তমানে ৪৩০ থেকে ৪৮০ ডলারের মধ্যে, যেখানে কুয়ালালামপুরের জন্য বেস ভাড়া ৩৬০ ডলার।
বিমানের বিপণন ও বিক্রয় পরিচালক আশরাফুল আলম বলেন, সৌদি আরব এবং কুয়ালালামপুরের বিভিন্ন গন্তব্যে ভ্রমণকারী নতুন নিযুক্ত প্রবাসী কর্মীদের জন্য একমুখী টিকিটের ক্ষেত্রে বিশেষ ভাড়া প্রযোজ্য হবে।