পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
যত দূর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। খুব কাছেই ভারত সীমান্ত। সন্ধ্যা নামার পর সীমান্তের ওপারের বাড়িঘরের ঝলমলে আলো স্পষ্ট দেখা যায়। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে হজমটিলায় পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় দুই ঘণ্টা।
যা যা দেখবেন
শ্রীমঙ্গল থেকে হজমটিলার উদ্দেশে সকাল সকাল রওনা দিতে পারলে একসঙ্গে কয়েকটি জায়গা ঘুরে আসতে পারবেন। হরিণছড়ায় ঢোকার আগে কেজুরীছড়ায় ডিনস্টন সিমেট্রি দেখে যেতে সব মিলিয়ে বড়জোর ২০-২৫ মিনিট লাগবে। তারপর হজমটিলার উদ্দেশে হরিণছড়া হয়ে যাওয়ার সময় জপমালা রানী মা মারিয়ার তীর্থস্থানটি দেখে যেতে পারেন। বের হয়ে হরিণছড়া খেলার মাঠের বাঁ পাশের রাস্তা দিয়ে ঝাউবনটা দেখে বের হতে পারেন। তারপর সোজা রাস্তা ধরে হজমটিলায় চলে যেতে পারেন।
যাতায়াত ও খরচ
শ্রীমঙ্গল শহরের কালীঘাট রোড পয়েন্টে গেলে হরিণছড়া চা–বাগানগামী অনেক সিএনজি পাবেন। হরিণছড়া ধুপঘর পর্যন্ত জনপ্রতি ভাড়া ৬০ টাকা। হরিণছড়ার মাঠ পেরিয়ে হজমটিলার রাস্তার মুখ পর্যন্ত গেলে ৭০ টাকা। সিএনজি রিজার্ভ নিলে ৩০০ টাকা। বেশি মানুষ হলে জিপগাড়ি ভাড়া নিয়ে নিতে পারেন। সারা দিন চুক্তিতে গেলে তারা ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকা বললেও এসব জায়গার জন্য নিলে কথা বলে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায় মানাতে পারবেন। তাদের হরিণছড়া মাঠ পেরিয়ে হজমটিলায় যাওয়ার প্রবেশমুখে নামিয়ে দিতে বলবেন।