পর্যটন বিচিত্রা প্রতিবেদন
ব্যক্তিগত গাড়ি বা মোটরসাইকেলে বিদেশ ভ্রমণের জন্য পাসপোর্ট আর আপনি যে দেশে ঘুরতে যেতে চান তার ভিসা ও প্লেন টিটিট ছাড়াও আপনাকে আরও তিনটি ফরমাল কাগজ জমা দিতে হবে।
নিজ গাড়ি বা মোটর সাইকেলে বিদেশ ভ্রমণ করতে চাইলে প্রথমেই আপনাকে লাগবে ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং পারমিট। এটি পূরণ করতে পারলে বিদেশের মাটিতে আপনি আপনার নিজ গাড়ি বা মোটরসাইকেলটিকে চালানোর অনুমতি পেয়ে যাবেন। এই অনুমতি পাওয়ার জন্য আপনার একটি ফরম পূরণ করতে হবে। সেই সঙ্গে জমা দিতে হবে ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি, পাসপোর্টের ফটোকপি, ৪ কপি স্ট্যাম্প সাইজ ও এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
বাংলাদেশ অটো মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন এ বিষয়টি তদারকি করে থাকে। এর ঠিকানা হলো ৩ বি, আউটার সার্কুলার রোড, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। তাই ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে এখানেই আপনার পূরণকৃত ফরমটি জমা দিন। প্রয়োজনীয় ফি দিয়ে জমা দেওয়ার পর প্রায় ১২ দিন বা ২ সপ্তাহের মধ্যে আপনি আপনার অনুমতিটি পেয়ে যাবেন।
এরপর আপনার প্রয়োজন হবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক অনুমতি। এটির জন্য আপনাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে একটি আবেদন জমা দিতে হবে। এরজন্য কোনো টাকার প্রয়োজন নেই। তবে আপনাকে আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে ভিসা, পাসপোর্ট, গাড়ি বা মোটর সাইকেলের রেজিস্ট্রেশন পেপার, ইন্সুরেন্স, স্মার্টকার্ড, ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং পারমিট ইত্যাদির ফটোকপি ও ছবি। এই অনুমতি পেতে আপনার প্রায় ২ সপ্তাহ সময় লাগবে। অনুমতি পাওয়ার পর এই অনুমতিপত্রটির এক কপি আপনার কাছে রেখে আরেক কপি জমা দিতে হবে বর্ডার কাস্টমস অফিসে।
এরপর আপনাকে পেতে হবে কারনেট। এটি হলো যেকোনো দেশে যানবাহন চালানোর অনুমতি। অন্যদেশে যেকোনো গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে আপনাকে সব সময়ই এটি সঙ্গে রাখতে হবে। এটি ইস্যু করার সময় আপনার বাইক বা গাড়ির মূল্যের সমপরিমাণ টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি বা পে অর্ডার জমা দিতে হবে যা অবশ্যই ফেরতযোগ্য। তবে এখানে অবশ্যই অনুমতিপত্র পাওয়ার আবেদনে আপনি কোন বর্ডার পাস করবেন তা উল্লেখ করতে হবে।
আপনার এইসব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহ হয়ে গেলে আপনি বিদেশ ভ্রমণের জন্য তৈরি বলা যায়। তবে যেদিন ভ্রমণের জন্য বের হবেন প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে বর্ডারে চলে যাবেন ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা আগে। এখানে ৩০০ টাকার ইনডেমনিটি বন্ড এবং গাড়ির জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক অনুমতিপত্র দেখিয়ে কমিশনার অফিসে জমা দিন। ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে কাস্টমস অফিসে অ্যাসিস্টেন্ট রেভিনিউ অফিসারের কাছে কারনেটসহ যাবতীয় ডকুমেন্ট জমা দিন।
আপনার পছন্দের দেশগুলোতে ঘুরে আসা হয়ে গেলে আপনার ব্যাংক গ্যারান্টি ও গাড়ির জন্য জমা দেওয়ার টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে।