পর্যটন বিচিত্রা ডেস্ক
পাহাড়, লেক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কোলে বৈচিত্র সংস্কৃতির বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠির বসবাসরত পাহাড়ি কন্যা পর্যটন শহর রাঙ্গামাটি এখন পর্যটকদের পদভারে মুখরিত। রাঙ্গামাটির হোটেল-মোটেলসহ বিভিন্ন রিসোর্টে প্রায় শতভাগই বর্তমানে বুকিং রয়েছে বলে জানিয়ছেন হোটেল মোটেল মালিকরা।
সাজেক ছাড়াও জেলার কাপ্তাই, বিলাইছড়ি, রাজস্থলীর উপজেলা সংলগ্ন সীমান্ত সড়কসহ বিভিন্ন উপজেলা এবং জেলা শহরের পর্যটন ঝুলন্ত ব্রীজ, পুলিশ বিভাগ পরিচালিত সুখী নীলগঞ্জ ও পলওয়েল পার্ক, ডিসি বাংলো, কাপ্তাই পড হাউজ, নানিয়ার উপজেলার বুড়িঘাটের বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফের স্মৃতিসৌধ, রাজবন বিহার, কাপ্তাই লেক, শুভলং ঝর্ণা, রাঙ্গা দ্বীপ, পেদা টিং টিং, টুকটুক ইকো ভিলেজ, বার্গী লেক, ডিভাইন রিসোর্ট, বেড়াইন্ন্যাসহ কাপ্তাই লেকের পাড়ে গড়ে উঠা বিভিন্ন পর্যটন স্পটে এখন পর্যটকদের ভিড়।
জেলার প্রতিটি পর্যটন স্পটগুলোতে এখন পরিবার পরিজন নিয়ে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা পাহাড়ের নির্মল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন মনের আনন্দে। বিভিন্ন কারণে ঝিমিয়ে পড়া পাহাড়ের পর্যটন শিল্প মানুষের আগমনে চাঙ্গা হয়ে উঠায় পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বেজায় খুশি।
রাঙ্গামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ক্যাচিং মারমা জানান, রাঙ্গামাটিতে এখন পর্যটকের ভিড় বেড়েছে। পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সে ৯০-৯৫ ভাগ রুমই বুকিং রয়েছে বলে জানান তিনি।
পর্যটকের আগমন বাড়ায় সাধারণ ব্যবসায়ীরাও খুশি। পর্যটন কমপ্লেক্স বোট ঘাটের ইজারাদার মো. রমজান আলী জানান, পর্যটকের আগমন বৃদ্ধিতে তারা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। সব বোটই প্রতিদিন ভাড়ায় যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
বর্তমানে আগের তুলনায় অনেক বেশি পর্যটক এসেছেন এবং জেলা শহরের আবাসিক হোটেল রুমগুলোর প্রায় শতভাগ বুকিং রয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলার পর্যটন স্পটসহ সাজেকের প্রায় ১১২টি রিসোর্ট-কটেজের মধ্যে প্রায় সবগুলো রিসোর্টই শতভাগ পর্যটক এসে অবস্থান করছেন।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ঘেরা রাঙ্গামাটি জেলার পর্যটন শিল্পের বিকাশে পরিকল্পিতভাবে সরকারিভাবে আরও নতুন নতুন পর্যটন স্পট গড়ে তোলাসহ কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া গেলে পর্যটন খাতে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকেই অনেক রাজস্ব আদায় সম্ভব বলে মনে করেন ঘুরতে আসা পর্যটকরা।