পর্যটন বিচিত্রা ডেস্ক
প্রথম বার বিমানে চেপে ঘুরতে গেলে কী নেবেন বা কী নেবেন না, তা নিয়ে বেশ চিন্তায় থাকেন অনেকে। অনেকেই আবার তাঁদের প্রিয় তারকাদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তেমন সাজগোজ করেন। তবে যেমনই সাজগোজ করুন না কেন, নিয়মের বাইরে যাওয়া যাবে না।
সময় বাঁচাতে অনেকেই ট্রেন বা বাসের পরিবর্তে বিমানে যেতে পছন্দ করেন। তবে নিয়মিত আকাশপথে ভ্রমণকারীরা বিমানের চড়ার নিয়মকানুন সম্পর্কে জানেন। কিন্তু যারা প্রথম বার বিমানে করে ঘুরতে যাচ্ছেন, তাদের কিছু জিনিস মাথায় রাখা জরুরি।
১. মাপের চেয়ে বড় পোশাক: অনেকেই নিজের শরীরের মাপের চেয়ে বড় পোশাক পরেন। ‘ম্যাক্সি ড্রেস’, ঢিলেঢালা জ্যাকেট, ‘হুডিস’, একাধিক পকেট দেওয়া ট্রাউজার্সের মতো পোশাকগুলো লম্বা ভ্রমণের জন্য সুবিধার। তবে নিরাপত্তার কারণে বিমানে ওঠার আগে বন্দরে স্ক্যান করার সময় এ ধরনের পোশাক অসুবিধা হতে পারে। হাতে সময় কম থাকলে এ ধরনের পোশাক এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
২. পোশাক বা জুতায় ধাতুর কারুকাজ: ধাতুর কোনো জিনিস সঙ্গে থাকলেই ‘মেটাল ডিটেক্টর’-এ তা আটকাবে। তেমন বিশেষ কিছু না হলে বিমানে ওঠা হয়তো যাবে। কিন্তু ঘুরতে যাওয়ার আগে অহেতুক ঝামেলা পোহাতে হবে। কাজেই ভারি কিছু জিনিস সঙ্গে থাকলে বিমানবন্দরে জমা রেখে দিয়ে যেতে হতে পারে।
৩. একাধিক চুলের ক্লিপ: বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরে নিয়ম-কানুন আলাদা। কোথাও চুলের ধাতব ক্লিপ মাথায় দিয়েই স্ক্যানারের নিচে দাঁড়ানো যায়। আবার কোথাও সব ক্লিপ খুলে রেখে তবেই স্ক্যানারের নিচে দাঁড়ানোর অনুমতি মেলে। ঘুরতে যাওয়ার সময় এতো ঝামেলা এড়াতে চাইলে প্লাস্টিক বা ফাইবারের ‘ক্লাচার’ মাথায় রাখাই ভালো।
৪. একাধিক গহনা: ঘুরতে যাওয়ার একাধিক গহনা পরলেও সেগুলো খুলে ফেলতে হতে পারে। স্বর্ণ, রুপা না হলেও নকল বা ‘স্টেটমেন্ট’ গহনা, অর্র্থাৎ যেগুলোতে বিভিন্ন রকম ধাতু থাকে, সেগুলো আটকানোর আশঙ্কা বেশি। অনেকে বিদেশ থেকে আসার সময়ও অনেক গহনা কিনে আনেন। সে ক্ষেত্রেও বিমানে ওঠার আগে সেই সংক্রান্ত নিয়মাবলী জেনে রাখা প্রয়োজন।
৫. সুগন্ধি: ঘুরতে গেলেও সঙ্গে বিভিন্ন রকম সুগন্ধি রাখেন অনেকে। আবার ঘুরেফিরে আসার সময় বন্ধু, আত্মীয়দের উপহার দেওয়ার জন্য সুগন্ধি কিনেও আনেন। কিন্তু বেশির ভাগ সুগন্ধিতে স্পিরিট থাকে। এ ধরনের স্পিরিটজাতীয় সুগন্ধি সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম আছে। নির্দিষ্ট একটি মাপের ওপর কোনো কিছুই বিমানে নিয়ে যাওয়া যায় না। তাই সে বিষয়েও সতর্ক থাকা জরুরি।